ই-কমার্স সেলস বৃদ্ধি করার ৬টি কার্যকরী টিপস।
আপনার
ই-কমার্স সেল ভালো থাকুক কিংবা সবে মাত্র শুরু করে থাকেন, আমাদের এই ই-কমার্স সেলস বৃদ্ধি করার টিপসগুলো অনলাইন সেলিং এ আপনাকে মাস্টার হতে সর্বোচ্চ সহযোগীতা করবে। 


ই-কমার্স জগত প্রতিযোগিতামূলক। আর তাই এখানে টিকে থাকতে হলে সঠিক পথে এগিয়ে চলাটা প্রয়োজন।


বর্তমান অনলাইন জগতে মোবাইল ব্যবহারীর সংখ্যা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি
পাচ্ছে, আর তাই আপনার অনলাইন শপকে অবশ্যই মোবাইল ফ্রেন্ডলি হতে হবে। 


বহন করার সুবিধার্তে স্মার্টফোন এবং ট্যাবলেট ব্যবহারীর সংখ্যা অধিক, এবং এক্ষেত্রে রেসপন্সিভ ডিজাইন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওয়েবসাইট দ্রুত লোড
নিচ্ছে কি-না সেদিকে লক্ষ রাখুন। ওয়েবসাইটে ইউজার-ফ্রেন্ডলি ইন্টারফেস নিশ্চিত করুন।



ই-কমার্স সেলের ক্ষেত্রে ভিজুয়াল এপিয়াল একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। সম্ভাব্য গ্রাহকদের প্রলুব্ধ করতে হাই রেজুলেশন ছবি ব্যবহার করুন যা আপনার প্রোডাক্টকে বিভিন্ন এংগেল এ তুলে ধরবে। পাশাপাশি আকর্ষণীয় প্রোডাক্ট ডিস্ক্রিপশন সরবরাহ করুন।
একাধিক ছবি ব্যবহার করুন, ছবির সাথে স্পষ্ট জুম অপশন এড করুন, এবং সম্ভব হলে ৩৬০- ডিগ্রি ছবি ব্যবহার। আপনার বিজনেসের উপকারিতা, ফিচার, এবং গুরুত্বপূর্ণ দিক যথাযথ পন্থা অনুসরণ করে তুলে ধরুন। অবশ্যই সঠিক এবং তথ্যপুর্ণ কন্টেন্ট সরবরাহ করবেন।

ভিজিবিলিটি বৃদ্ধি করতে এবং অরগানিক ট্রাফিক আকর্ষণ করতে ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের জন্য অপ্টিমাইজ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিওয়ার্ড রিসার্চ পরিচালনার মাধ্যমে খুঁজে বের করুন আপনার সম্ভাব্য গ্রাহকেরা প্রোডাক্ট খুঁজ করতে কোন টার্মগুলো ব্যবহার করে। প্রোডাক্ট লিস্টিং, মেটা টাইটেল, ডিস্ক্রিপশন, এবং ইমেইজ alt ট্যাগে উক্ত কিওয়ার্ড ন্যাচারালি ব্যবহার করা নিশ্চিত করুন। অধিক কাস্টমার এট্রেক করতে হাই-কোয়ালিটি, শেয়ারযোগ্য কন্টেন্ট যেমন ব্লগ পোস্ট, ভিডিও, এবং ইনফোগ্রাফিক্স ব্যবহার করুন।

ই-কমার্স এ বিশ্বাস অর্জন করা গুরুত্বপূর্ণ। আপনার অনলাইন স্টোর নিরাপদ এবং একাধিক পেমেন্ট অপশন অফার করছে কি না নিশ্চিত করুন।
পেমেন্ট অপশন যত বেশি সুরক্ষিত এবং নমনীয় হবে, গ্রাহকরা তত বেশি আত্মবিশ্বাসের সাথে তাদের কেনাকাটা সম্পূর্ণ করবে। ট্রাস্ট ব্যাজ ডিস্প্লে করুন। সিকুয়ার চেকআউট আইকন যুক্ত করুন। স্পষ্ট প্রাইভেসি পসিলি নিশ্চিত করুন।

ই-কমার্স সেল বৃদ্ধি করার জন্য এবং আপনার ই-কমার্স ব্যবসাকে প্রাণবন্ত করতে ডিসকাউন্ট এবং প্রোমোশন অফার করা একটি গতিশীল এবং বহুমূখী হতে পারে চমৎকার একটি পদ্ধতি।
ঋতু অনুযায়ী ডিসকাউন্ট তৈরি করে, ফ্ল্যাশ বিক্রয় চালিয়ে এবং কাস্টমার লয়ালটি প্রোগ্রাম চালু করে, আপনি ক্রেতাদের শুধুমাত্র কেনাকাটা করতেই নয়, আরও অনেক কিছুর জন্য ফিরে আসতেও অনুপ্রাণিত করতে পারেন। ডিসকাউন্ট এবং প্রমোশন অফার করার প্লানিং অবশ্যই স্ট্রাটেজিক্যালি করতে হবে। এক্সক্লুসিভ অফার, বান্ডেল ডিল অফার করুন। লিমিটেড টাইম অফার একটি চমৎকার পদ্ধতি হতে পারে।

ই-মেইল মার্কেটিং এ ইনভেস্ট করার মাধ্যমে আপনি আপনার কাস্টমারের পারসোনাল ইনবক্সে সরাসরি ইন্টারেকশন করতে সক্ষম হবেন। আর ই-কমার্স সেলস বৃদ্ধি করার জন্য এটি দারুন কার্যকরী একটি স্ট্রাটেজি। এছাড়াও এটি মূল্যবান ডাটা এবং ইনসাইট সরবরাহ করে।
টার্গেটেড ই-মেইল লিস্ট তৈরি করুন।
গ্রাহকের মেইল ইনবক্সে মূল্যবান কন্টেন্ট অথবা বার্তা নিশ্চিত করুন।
অপ্রয়োজনীয় বার্তা পাঠানো থেকে বিরত থাকুন।
ই-কমার্স সেলস বৃদ্ধি করার এই ৬টি টিপস ছিল মূলত আপনার ডিজিটাল শপ অন্য এক মাত্রায় নিয়ে যেতে সর্বোচ্চ সাহায্য করা। এই টিপস গুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনি আপনার প্রতিযোগীদের থেকে অনেকটাই এগিয়ে যেতে পারবেন।
আর সঠিক কনটেন্ট, টার্গেটিং, মনিটরিং, সেলস ফানেল এবং মনিটরিং সহ যাবতীয় সকল সমাধান পাচ্ছেন Branding Curve থেকে।
তো আর দেরি বা করে Free Consultation এর জন্য Meeting Schedule পেতে যোগাযোগ করুন।
Nice content